জ্বর হলে করণীয়: সেরা ১০টি ঘরোয়া প্রতিকার
জ্বর হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং প্রচুর পানি পান করুন। তাপমাত্রা বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। জ্বর হলে আমাদের দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে যায়। এটি শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি প্রতিক্রিয়া। জ্বর সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে হয়। এর ফলে শরীরে দুর্বলতা, মাথাব্যথা এবং ক্ষুধামন্দা দেখা দিতে পারে। জ্বর হলে সাধারণত বিশ্রাম নেয়া এবং বেশি পরিমাণ পানি পান করা উচিৎ। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হালকা পোশাক পরা উচিৎ। সময়মতো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। নিজের যত্ন নেওয়া এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া জরুরি।

Credit: www.youtube.com
জ্বরের লক্ষণ
জ্বরের লক্ষণগুলি চিনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জ্বর শরীরের প্রতিরক্ষা প্রক্রিয়ার একটি অংশ। এটি আমাদের জানায় শরীরে সংক্রমণ বা অন্য কোনো সমস্যা রয়েছে। নিচে জ্বরের কিছু সাধারণ লক্ষণ উল্লেখ করা হলো।
উচ্চ তাপমাত্রা
জ্বরের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল উচ্চ তাপমাত্রা। শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। জ্বর হলে তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রির উপরে উঠে যায়। তাপমাত্রা মাপতে থার্মোমিটার ব্যবহার করুন। তাপমাত্রা নিয়মিত মাপা প্রয়োজন।
| তাপমাত্রার পরিমাপ | অবস্থা |
|---|---|
| ১০০ - ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট | হালকা জ্বর |
| ১০২ - ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট | মাঝারি জ্বর |
| ১০৪ ডিগ্রির উপরে | উচ্চ জ্বর |
শরীরের ব্যথা
জ্বরের সময় শরীরের ব্যথা খুব সাধারণ একটি লক্ষণ। পুরো শরীর জুড়ে ব্যথা থাকতে পারে। বিশেষ করে গলা, পিঠ এবং পায়ের পেশীতে। এটি অনেক সময় ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে সামাল দেয়া যায়।
- গলা ব্যথা
- পিঠ ব্যথা
- পেশীতে টান
এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে প্রাথমিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। শরীরের অবস্থা অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করুন।
জ্বরের কারণ
জ্বর আমাদের শরীরের একটি সাধারণ প্রতিক্রিয়া। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। জ্বরের কারণগুলি জানা জরুরি। কারণ এটি সঠিক চিকিৎসার জন্য সহায়ক।
ভাইরাল সংক্রমণ
ভাইরাল সংক্রমণ জ্বরের একটি সাধারণ কারণ। ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে জ্বর হতে পারে। কিছু সাধারণ ভাইরাস সংক্রমণ হলো:
- ইনফ্লুয়েঞ্জা (ফ্লু)
- ডেঙ্গু
- চিকুনগুনিয়া
- করোনা ভাইরাস
ভাইরাস আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে আক্রমণ করে। ফলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণেও জ্বর হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করলে এটি নানা রোগ সৃষ্টি করতে পারে। কিছু সাধারণ ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হলো:
- স্ট্রেপ থ্রোট
- ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI)
- ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া
- টিউবারকুলোসিস (TB)
ব্যাকটেরিয়া শরীরে দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে পারে। ফলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
বেশি পানীয় পান
জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এতে শরীরের পানি দ্রুত নষ্ট হয়। তাই, বেশি পানীয় পান করা খুবই জরুরি। এতে শরীরের পানি স্বাভাবিক থাকে। নিচে কিছু উপায় দেওয়া হলো যাতে পানি স্বাভাবিক রাখা যায়:
জল
প্রতিদিন পর্যাপ্ত জল পান করা জরুরি। দিনে কমপক্ষে আট গ্লাস জল পান করুন। জল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।
- প্রতিদিন আট গ্লাস জল পান করুন।
- জল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।
ফলমূলের রস
ফলমূলের রস পান করা খুবই উপকারী। এতে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
| ফলমূলের রস | উপকারিতা |
|---|---|
| কমলার রস | ভিটামিন সি সমৃদ্ধ |
| লেবুর রস | শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে |
| তরমুজের রস | শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে |
ফলমূলের রস শরীরকে দ্রুত পুনরুজ্জীবিত করে। এ কারণে জ্বর হলে ফলমূলের রস পান করা উচিত।

Credit: m.youtube.com
বেশি বিশ্রাম নেওয়া
জ্বর হলে শরীরের প্রয়োজন বেশি বিশ্রাম। বিশ্রাম শরীরকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে। বেশি বিশ্রাম নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ঘুম
জ্বর হলে পর্যাপ্ত ঘুম নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। ঘুম শরীরকে আরাম দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। ঘুমের জন্য নিরিবিলি পরিবেশ বেছে নিন। ঘুমানোর আগে ফোন বা টিভি এড়িয়ে চলুন।
শরীরের বিশ্রাম
জ্বর হলে শরীরের বিশ্রাম নেওয়া অপরিহার্য। সারাদিনের কাজ কমিয়ে বিশ্রাম নিন। বেশি কাজ করলে শরীর আরও ক্লান্ত হয়। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট বিশ্রাম নিন।
- বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম নিন
- নিয়মিত পানি পান করুন
- হালকা খাবার খান
| করণীয় | উপকারিতা |
|---|---|
| বেশি ঘুম | শরীরকে সুস্থ করে |
| শরীরের বিশ্রাম | ক্লান্তি দূর করে |
বেশি বিশ্রাম নেওয়া জ্বর কাটানোর একটি সহজ উপায়। সঠিক বিশ্রাম শরীরকে দ্রুত আরোগ্য দান করে।
গরম পানির সেঁক
জ্বর হলে গরম পানির সেঁক খুবই কার্যকরী হতে পারে। এটি শরীরকে আরাম দেয় এবং পেশির ব্যথা কমায়। নিচে গরম পানির সেঁক নেওয়ার কিছু কার্যকর পদ্ধতি আলোচনা করা হলো।
তাওয়ালে ব্যবহার
প্রথমে একটি তাওয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে নিন। তারপর ভালোভাবে চেপে অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে ফেলুন। এখন এই গরম তাওয়ালে আক্রান্ত স্থানে রাখুন।
- তাওয়ালে ভালোভাবে চেপে ধরুন।
- ১৫-২০ মিনিট ধরে রাখুন।
- প্রতি ২-৩ ঘণ্টা পরপর পুনরাবৃত্তি করুন।
গরম পানির বোতল
গরম পানির বোতলও অনেক কার্যকর। এটি দীর্ঘ সময় ধরে তাপ ধরে রাখতে পারে। প্রথমে গরম পানি বোতলে ভরুন।
- বোতলটি ভালভাবে বন্ধ করুন।
- আক্রান্ত স্থানে রাখুন।
- ২০-৩০ মিনিট ধরে রাখুন।
- প্রতি ৩-৪ ঘণ্টা পরপর পুনরাবৃত্তি করুন।
| পদ্ধতি | সময় |
|---|---|
| তাওয়ালে ব্যবহার | ১৫-২০ মিনিট |
| গরম পানির বোতল | ২০-৩০ মিনিট |
উপরের পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করে জ্বরের সময় আরাম পেতে পারেন। শরীরকে শান্ত রাখতে এই পদ্ধতিগুলি খুবই কার্যকর।
হালকা পোশাক পরা
জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, তাই হালকা পোশাক পরা খুবই জরুরি। হালকা পোশাক শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এবং আরাম দেয়। আসুন দেখি কী ধরনের হালকা পোশাক পরা উচিত।
সুতির পোশাক
সুতির পোশাক জ্বরের সময় সবচেয়ে উপযুক্ত। কারণ, সুতির কাপড় বাতাস চলাচল করে এবং ঘাম শোষণ করে। এটা শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং আরাম দেয়।
- সুতি কামিজ বা টি-শার্ট
- সুতি প্যান্ট বা পায়জামা
- সুতি সালোয়ার কুর্তা
আরামদায়ক পোশাক
আরামদায়ক পোশাক পরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় অস্বস্তিকর পোশাক এড়িয়ে চলুন।
- ঢিলেঢালা পোশাক পরুন
- এড়িয়ে চলুন টাইট পোশাক
- শীতল কাপড়ের ব্যবহার করুন
এই পোশাকগুলো জ্বরের সময় আপনার আরাম নিশ্চিত করবে। এছাড়া, আপনার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
তুলসি পাতা
জ্বর হলে তুলসি পাতা খুবই উপকারী। তুলসি পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল গুণ। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। জ্বর কমাতে তুলসি পাতা প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হচ্ছে।
তুলসি চা
তুলসি চা বানাতে কয়েকটি পাতা নিন। এক কাপ পানিতে সেদ্ধ করুন। তারপর পান করুন। তুলসি চা জ্বর কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তুলসি চা খেলে শরীরের ব্যথা কমে যায়।
তুলসি পাতা চিবানো
জ্বর হলে তুলসি পাতা চিবানো উপকারী। প্রতিদিন কয়েকটি পাতা চিবান। এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখে। তুলসি পাতা চিবালে রক্ত পরিষ্কার হয়।
- প্রতিদিন সকালে তুলসি পাতা চিবান।
- এক সপ্তাহ ধরে তুলসি পাতা চিবান।
- পানি দিয়ে তুলসি পাতা ধুয়ে নিন।
তুলসি পাতা জ্বর কমাতে কার্যকর। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই জ্বর হলে তুলসি পাতা ব্যবহার করুন।

Credit: www.anandabazar.com
আদার ব্যবহার
জ্বর হলে আদার ব্যবহার খুবই কার্যকরী। আদার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ। এটি শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। আদা সহজলভ্য এবং প্রাকৃতিক উপাদান হওয়ায় এটি সবাই ব্যবহার করতে পারেন।
আদা চা
আদা চা জ্বর কমাতে খুবই উপকারী। এটি শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণের জন্য প্রদাহ কমায়। আদা চা বানাতে প্রথমে কিছুটা আদা কুচি করে নিন। এরপর গরম পানিতে আদা কুচি দিন এবং ৫-১০ মিনিট ধরে ফুটান। ছেঁকে নিয়ে মধু মিশিয়ে পান করুন। দিনে ২-৩ বার আদা চা পান করা যেতে পারে।
আদা এবং মধু
আদা এবং মধুর মিশ্রণ জ্বর কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং আদা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি। এক চা চামচ আদা রসের সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। দিনে ২-৩ বার এটি খেলে উপকার পাবেন।
| উপাদান | পরিমাণ | ব্যবহার |
|---|---|---|
| আদা | ১ টুকরো | কুচি করা |
| পানি | ১ কাপ | গরম করা |
| মধু | ১ চা চামচ | মিশিয়ে পান করা |
মধু এবং লেবুর রস
জ্বর হলে প্রাকৃতিক উপায়ে স্বস্তি পেতে মধু এবং লেবুর রস অত্যন্ত কার্যকর। এই দুই উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর ফলে দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব হয়।
মধু এবং লেবুর পানীয়
মধু এবং লেবুর মিশ্রণ জ্বর কমাতে সাহায্য করে। একটি গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ মধু এবং অর্ধেক লেবুর রস মেশান। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
মধুর উপকারিতা
- প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল: মধুতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
- ইমিউনিটি বুস্টার: মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে।
- শক্তি প্রদান: মধু তাৎক্ষণিক শক্তি প্রদান করে। এটি শারীরিক দুর্বলতা কমায়।
- শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা: মধু শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা হ্রাস করে। এটি গলায় সংক্রমণ কমায়।
গার্গল করা
জ্বর হলে গার্গল করা অত্যন্ত কার্যকরী একটি পদ্ধতি। এটি গলা ব্যথা কমাতে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক। গার্গল করলে গলার জীবাণু ধ্বংস হয় এবং প্রদাহ কমে। নিচে নুন জল এবং আদা জল দিয়ে গার্গল করার পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে।
নুন জল দিয়ে গার্গল
নুন জল দিয়ে গার্গল করা খুব সহজ এবং কার্যকর। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- প্রথমে এক গ্লাস উষ্ণ জল নিন।
- তারপর এতে এক চা চামচ নুন মেশান।
- ভালভাবে মিশ্রণটি না হওয়া পর্যন্ত নাড়ুন।
- এখন এই জল দিয়ে গার্গল করুন।
- প্রতিদিন তিন থেকে চারবার গার্গল করুন।
আদা জল দিয়ে গার্গল
আদা জল দিয়ে গার্গল করা গলার প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আদার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে।
- প্রথমে এক টুকরো আদা নিন।
- আদা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন।
- এক গ্লাস উষ্ণ জলে আদার টুকরো যোগ করুন।
- ৫-১০ মিনিট ধরে জলটি ফোটান।
- জল ঠান্ডা হলে গার্গল করুন।
- প্রতিদিন দুবার গার্গল করুন।
গার্গল করা সহজ এবং কার্যকর পদ্ধতি। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধে এবং গলার প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
Frequently Asked Questions
জ্বর হলে কি করা উচিত ঘরোয়া উপায়?
জ্বর হলে পর্যাপ্ত পানি পান করুন, বিশ্রাম নিন, হালকা খাবার খান এবং ঠান্ডা পানির পট্টি ব্যবহার করুন। আদা চা ও তুলসী পাতার রস উপকারী।
জ্বর হলে কি কি খাবার খেতে হয়?
জ্বর হলে প্রচুর পানি পান করতে হবে। পুষ্টিকর খাবার যেমন ফল, সবজি, ও স্যুপ খেতে হবে। পরিমিত প্রোটিন, যেমন ডাল ও মুরগির মাংস খাওয়া উচিত। হালকা ও সহজপাচ্য খাবার বেছে নিন। বিশ্রাম নিতে ভুলবেন না।
জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত নয়?
জ্বর হলে মশলাদার খাবার, তেল-চর্বিযুক্ত খাবার, ঠান্ডা পানীয়, ক্যাফেইন এবং এলকোহল এড়িয়ে চলা উচিত। পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
জ্বর হলে কি কি ওষুধ খাওয়া দরকার?
জ্বর হলে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। প্রচুর পানি পান করতে হবে। বিশ্রাম নিতে হবে। বেশি জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Conclusion
জ্বর হলে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সঠিক যত্ন নিলে দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন। সবসময় সুস্থ থাকুন এবং নিজের যত্ন নিন।