গলায় কিছু আটকে আছে মনে হয় কেন: কারণ ও উপশমের সহজ উপায়


আপনার গলায় যেন কিছু আটকে আছে, এমন অনুভূতি বারবার কি আপনাকে বিরক্ত করে? এই অদ্ভুত অস্বস্তি কখনো কখনো আপনার দৈনন্দিন জীবনে মনোযোগ কেন্দ্র করতে বাধা দিতে পারে। আপনি হয়তো ভাবছেন, এটা কি কোন বড় সমস্যার ইঙ্গিত?

অথবা এটা কি স্বাভাবিক কিছু? আসলে গলায় এমন অনুভূতি হওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে—অ্যাসিড রিফ্লাক্স থেকে শুরু করে গলার প্রদাহ কিংবা সাইনাসের সমস্যা। আপনি যদি এই অনুভূতির কারণ জানতে চান এবং কিভাবে তা থেকে মুক্তি পেতে পারেন, তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য। 

পুরো লেখাটি পড়ুন এবং আপনার গলার সেই অদ্ভুত অনুভূতির রহস্য জানুন, যাতে আপনি আর কখনো এ নিয়ে চিন্তিত না হন।

গলায় আটকে থাকার অনুভূতি

গলায় কিছু আটকে থাকার অনুভূতি অনেকের জীবনে একসময়ই দেখা দেয়। এটি সাধারণত গলার মধ্যে একটি অস্বস্তিকর এবং অচেনা অনুভূতি সৃষ্টি করে। কেউ কেউ মনে করেন যেন গলায় আস্ত একটা কিছু আটকে আছে, যা গিলতে বা কথা বলতে বাধা দেয়। এই অনুভূতি কখনও কখনও স্বাভাবিক হলেও অনেক সময় এটি কোনো গম্ভীর সমস্যার ইঙ্গিতও হতে পারে।

গলায় আটকে থাকার এই অনুভূতি একদিকে যেমন মানসিক চাপের কারণে হতে পারে, অন্যদিকে শারীরিক কোনো সমস্যার লক্ষণও হতে পারে। তাই এর প্রকৃত কারণ জানা জরুরি, যাতে সময় মতো সঠিক চিকিৎসা নেওয়া যায়।

গ্লোবাস সেনসেশন কী

গ্লোবাস সেনসেশন হলো গলায় কিছু আটকে থাকার একটি ব্যথাহীন কিন্তু বিরক্তিকর অনুভূতি। এই অবস্থায় গলায় কোনো আসল বাধা না থাকলেও মনে হয় কিছু আটকে আছে। এটি সাধারণত গলায়, গলার নীচে বা খাদ্যনালীর উপরের অংশে অনুভূত হয়।

গ্লোবাস সেনসেশন সাধারণত অ্যাসিড রিফ্লাক্স, মানসিক চাপ, বা গলার পেশীর অস্বাভাবিক সংকোচনের কারণে হয়। এটি দীর্ঘস্থায়ী হলে জীবনযাত্রার মান কমে যেতে পারে। তবে প্রায়শই এটি বিপজ্জনক নয় এবং স্বাভাবিকভাবেই চলে যায়।

প্রধান উপসর্গসমূহ

  • গলায় কিছু আটকে থাকার অনুভূতি
  • গিলতে অস্বস্তি বা ব্যথা
  • গলার খসখসে বা কর্কশ অনুভূতি
  • গলার পেশীতে টান বা চাপ অনুভব
  • কণ্ঠস্বর পরিবর্তন বা হ্রাস
  • অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সঙ্গে জ্বালাপোড়া

এই উপসর্গগুলো গ্লোবাস সেনসেশন বা গলার অন্য কোনো সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ী হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

প্রধান কারণসমূহ

গলায় কিছু আটকে আছে মনে হওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। এই অনুভূতি অনেক সময় শারীরিক কোনো সমস্যার সংকেত দেয়। সচেতন থাকা এবং কারণগুলো বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বুঝে উপযুক্ত চিকিৎসা নেওয়া যায়। নিচে গলায় পিণ্ড অনুভবের প্রধান কারণসমূহ আলোচনা করা হলো।

অ্যাসিড রিফ্লাক্স ও Gerd

অ্যাসিড রিফ্লাক্সে খাবারের অ্যাসিড গলায় উঠে আসে। এতে গলা জ্বালা এবং পিণ্ডের অনুভূতি হয়। GERD হল দীর্ঘমেয়াদী অ্যাসিড রিফ্লাক্সের একটি ধরনের রোগ। এর ফলে গলা প্রদাহিত হয় এবং গলায় ভীষণ অস্বস্তি জন্মায়।

গলার সংক্রমণ ও প্রদাহ

গলা ব্যথা বা ফ্যারিঞ্জাইটিসের কারণে গলা ফুলে যায়। টনসিল প্রদাহ হলে গলায় পিণ্ডের মতো অনুভূতি হতে পারে। সংক্রমণ হলে গিলতে কষ্ট হয় এবং গলা শুকিয়ে যায়। এ ধরনের প্রদাহ গলার স্বাভাবিক চলাচলে বাধা দেয়।

থাইরয়েড সমস্যা

থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি গলায় চাপ সৃষ্টি করে। এতে গলায় কিছু আটকে থাকার মতো অনুভূতি হতে পারে। থাইরয়েডের সমস্যা হলে গলা ফোলা বা গলায় গুটির মতো কিছু অনুভূত হয়। এই সমস্যা গিলতে অসুবিধা বাড়ায়।

সাইনাস ও নাকের সমস্যা

সাইনাসের প্রদাহ বা নাক বন্ধ থাকলে গলায় মিউকাস জমে। মিউকাস গলায় পড়ে পিণ্ড অনুভূতি দেয়। দীর্ঘস্থায়ী সাইনোসাইটিসেও গলায় কিছু আটকে থাকার অনুভূতি হয়। নাকের সমস্যার কারণে গলার স্বাভাবিক অনুভূতি বিঘ্নিত হয়।

ভোকাল স্ট্রেন ও ধূমপান

বেশি কথা বলার ফলে গলার পেশিতে চাপ পড়ে। এতে গলা দুর্বল হয় এবং পিণ্ডের অনুভূতি হতে পারে। ধূমপান গলার টিস্যুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ধূমপানের কারণে গলা খসখসে এবং অস্বস্তিকর হয়।

গলায় পিণ্ডের ঝুঁকিপূর্ণ লক্ষণ

গলায় পিণ্ডের ঝুঁকিপূর্ণ লক্ষণগুলি বুঝতে পারা খুবই জরুরি। এগুলো সাধারণত গলার কোনো গুরুতর সমস্যা বা রোগের সংকেত হতে পারে। সময়মতো লক্ষণগুলি চিনে নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিচে গলায় পিণ্ডের কিছু প্রধান ঝুঁকিপূর্ণ লক্ষণ আলোচনা করা হলো।

দীর্ঘস্থায়ী গলা ব্যথা

গলায় ব্যথা দুই সপ্তাহের বেশি থাকলে চিন্তার বিষয়। এটি সাধারণ ঠান্ডা-কাশির মত না হয়ে, গুরুতর রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী গলা ব্যথা গলার ক্যান্সারসহ নানা রোগের লক্ষণ হতে পারে। তাই এ ধরনের ব্যথা উপেক্ষা করা ঠিক নয়।

গিলতে অসুবিধা

খাবার বা পানীয় গিলে সমস্যা হলে সতর্ক হওয়া উচিত। গিলতে ব্যথা বা অস্বস্তি গলার পিণ্ড বা টিউমারের লক্ষণ হতে পারে। খাদ্য গলায় আটকে থাকার অনুভূতি থাকলে ডাক্তার দেখানো জরুরি। গিলতে অসুবিধা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবহেলা করা উচিত নয়।

কণ্ঠস্বর পরিবর্তন

হঠাৎ করেই কণ্ঠস্বর পরিবর্তিত হলে সাবধান হওয়া দরকার। কণ্ঠস্বর ক্রমাগত কর্কশ বা শক্ত হয়ে গেলে চিকিৎসা নিতে হবে। এটি গলার কোনো প্রদাহ বা গুরুতর রোগের লক্ষণ হতে পারে। কণ্ঠস্বর পরিবর্তন দুই সপ্তাহের বেশি থাকলে ডাক্তার দেখানো জরুরি।

ঘাড়ে ফোলা

ঘাড়ে পিণ্ড বা ফোলা দেখা গেলে অবহেলা করা ঠিক নয়। এটি লিম্ফ নোডের সমস্যা বা গলার ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। ঘাড়ে ফোলা দীর্ঘ সময় থাকলে তা পরীক্ষা করানো উচিত। দ্রুত চিকিৎসা না নিলে সমস্যা বাড়তে পারে।

গলায় কিছু আটকে আছে মনে হয় কেন: কারণ ও উপশমের সহজ উপায়

Credit: www.jugantor.com

গলায় আটকে থাকার অব্যবহৃত কারণ

গলায় কিছু আটকে থাকার অনুভূতি অনেক সময় বিরক্তিকর এবং অস্বস্তিকর হয়। অনেকেই এ সমস্যার কারণ খুঁজে পেতে পারেন না। গলায় আটকে থাকার পেছনে অনেক অজানা কারণ থাকতে পারে। এসব কারণ বোঝা দরকার সঠিক সমাধানের জন্য। নিচে গলায় আটকে থাকার কিছু অব্যবহৃত কারণ তুলে ধরা হলো।

সার্ভিকাল মেরুদণ্ডের সমস্যা

গলায় আটকে থাকার অনুভূতি কখনো কখনো সার্ভিকাল মেরুদণ্ডের সমস্যার কারণে হয়। ঘাড়ের হাড় বা মাংসপেশীর চাপ গলার নার্ভে প্রভাব ফেলে। এতে গলায় অস্বস্তি বা আটকে থাকার মত অনুভূতি তৈরি হয়। অনেক সময় সার্ভিকাল আর্থ্রাইটিস বা ডিস্ক সমস্যা এ লক্ষণ সৃষ্টি করে।

অ্যালার্জি ও পোস্টনাসাল ড্রিপ

অ্যালার্জির কারণে নাক থেকে গলায় স্রাব পড়ে, যাকে পোস্টনাসাল ড্রিপ বলে। এটি গলার পেছনে জমা হয়ে গলায় পিণ্ড বা আটকে থাকার অনুভূতি সৃষ্টি করে। ধূলা, পোলেন বা খাদ্য অ্যালার্জি এই সমস্যা বাড়ায়। নিয়মিত স্রাব গলায় অস্বস্তি বাড়ায়।

মানসিক চাপ ও উদ্বেগ

মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের কারণে গলায় পিণ্ড বা আটকে থাকার অনুভূতি হতে পারে। স্ট্রেস অনেক সময় গলার পেশীতে টান সৃষ্টি করে। এটি গিলতে অসুবিধার মতো অনুভূতি দেয়। উদ্বেগের কারণে গলায় কিছু আটকে থাকার ভাব খুবই সাধারণ।

সহজ উপশমের পদ্ধতি

গলায় কিছু আটকে আছে মনে হলে তা খুবই অস্বস্তিকর হতে পারে। সহজ উপশমের পদ্ধতি অনেক ক্ষেত্রে এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। সঠিক যত্ন এবং নিয়মিত অভ্যাস গলায় অস্বস্তি কমাতে কার্যকর। নিচে কিছু প্রাথমিক উপায় আলোচনা করা হলো যা গলায় আটকে থাকার অনুভূতি দূর করবে।

জীবনধারা পরিবর্তন

প্রথমেই জীবনধারায় পরিবর্তন আনা জরুরি। ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন। পর্যাপ্ত ঘুম নিন। চাপ কমানো চেষ্টা করুন। নিয়মিত ব্যায়াম শরীর এবং গলার পেশি শিথিল করে।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস

খাবার ধীরে ধীরে খান। ভালোভাবে চিবিয়ে গিলুন। অতিরিক্ত মসলা ও তেলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। ফল ও সবজি বেশি খান। গলা সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

ওষুধ ও চিকিৎসা

ডাক্তার পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ গ্রহণ করুন। অ্যান্টাসিড বা এন্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধ উপকারী। গলায় ইনফেকশন হলে এন্টিবায়োটিক দরকার হতে পারে। চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে চলুন।

ঘরোয়া প্রতিকার

গরম পানি দিয়ে গার্গেল করুন। মধু ও আদা চা পান করুন। গলায় আরাম দেয়। লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে গলা পরিষ্কার থাকে। বাষ্প গ্রহণ গলায় স্নিগ্ধতা আনে।

গলায় কিছু আটকে আছে মনে হয় কেন: কারণ ও উপশমের সহজ উপায়

Credit: archive.roar.media

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন

গলায় কিছু আটকে আছে এমন অনুভূতি অনেকেরই হয়। বেশিরভাগ সময় এটি সাময়িক হয় এবং স্বাভাবিকভাবে ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু কখনো কখনো এই অনুভূতি দীর্ঘস্থায়ী বা জটিল রোগের লক্ষণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

গলায় পিণ্ড বা আটকে থাকার অনুভূতি যদি নিয়মিত হয় বা অন্য লক্ষণের সঙ্গে যুক্ত হয়, তখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ আলোচনা করা হলো, যেগুলো দেখলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

লক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হলে

গলায় কিছু আটকে থাকার অনুভূতি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে তা গুরুত্বের বিষয়। দীর্ঘস্থায়ী গলার সমস্যা মানে কিছুটা গুরুতর কিছু থাকতে পারে। গলা ব্যথা, কাশি বা গলায় অবিরাম অস্বস্তি থাকলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।

গিলতে ব্যথা বা অসুবিধা

গিলতে ব্যথা বা অসুবিধা হওয়া স্বাভাবিক নয়। খাবার বা পানীয় গিলতে সমস্যা হলে তা খাদ্যনালী বা গলার অন্য সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। গিলতে ব্যথা যদি ক্রমাগত হয় বা বাড়তে থাকে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

অস্বাভাবিক ওজন হ্রাস

কোনো বিশেষ চেষ্টা ছাড়াই ওজন কমে গেলে সেটি সতর্কবার্তা। গলায় আটকে থাকার অনুভূতির সঙ্গে অজানা ওজন কমা দেখা দিলে তা গলার ক্যান্সার বা অন্য গুরুতর রোগের লক্ষণ হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের সাহায্য নেওয়া জরুরি।

ঘাড়ে পিণ্ড বা ফোলা

ঘাড়ে পিণ্ড বা ফোলা ধরা পড়লে সেটি সংক্রমণ, থাইরয়েড বা লিম্ফ নোডের সমস্যা নির্দেশ করতে পারে। ঘাড়ে ফোলা থাকলে এবং গলায় আটকে থাকার অনুভূতি থেকে মুক্তি না পেলে অবিলম্বে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করা উচিত।


গলায় কিছু আটকে আছে মনে হয় কেন: কারণ ও উপশমের সহজ উপায়

Credit: www.youtube.com

Frequently Asked Questions

গলার ক্যান্সারের লক্ষণ কি কি?

গলার ক্যান্সারের লক্ষণ হলো দীর্ঘস্থায়ী গলা ব্যথা, গিলতে অসুবিধা, কণ্ঠস্বর পরিবর্তন, অব্যক্ত ওজন কমা, ঘাড়ে ফোলা ও দীর্ঘস্থায়ী কাশি।

গলায় খাবার আটকে থাকে কেন?

গলায় খাবার আটকে থাকার প্রধান কারণ হলো অ্যাসিড রিফ্লাক্স, গলার প্রদাহ বা টনসিল সমস্যা। এছাড়া থাইরয়েড সমস্যা ও গ্লোবাস সেনসেশনও দায়ী হতে পারে। গিলতে অসুবিধা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

গলার সংক্রমণের লক্ষণ কী কী?

গলার সংক্রমণের লক্ষণ হলো গলা ব্যথা, গিলতে কষ্ট, টনসিল ফোলা, সাদা ছোপ দেখা, কণ্ঠস্বর পরিবর্তন এবং জ্বালা অনুভব। এছাড়াও গলা শুকনো বা ঘেমে যাওয়ার মতো অনুভূতিও হতে পারে।

যখন মনে হয় গলায় কিছু আটকে আছে?

গলায় কিছু আটকে থাকা অনুভূতি গ্লোবাস সেনসেশন নামে পরিচিত। এটি সাধারণত গলা বা খাদ্যনালীর সমস্যা, যেমন GERD বা প্রদাহের কারণে হয়। বেশি চিন্তার কারণ নয়; বিশ্রাম ও ওষুধে স্বস্তি মেলে। দীর্ঘস্থায়ী হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

উপসংহার

গলায় কিছু আটকে থাকার অনুভূতি অনেক কারণেই হতে পারে। সাধারণত এটা গলার প্রদাহ, অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা সাইনাস সমস্যার লক্ষণ। 

দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া ও জীবনধারা ঠিক রাখলে অনেক সময় আরাম মেলে। 

গলার কোনো অস্বাভাবিকতা বা ব্যথা উপেক্ষা করবেন না। শরীরের সংকেতগুলো বুঝে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ থাকুন, সময়মতো চিকিৎসা নিন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url